আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি গ্রহন ও বিস্তারে সুবিধাভোগী কৃষক মহিব শেখ
গোপালগঞ্জ জেলার জাতির পিতার পূণ্যভূমি টুঙ্গিপাড়া উপজেলার নিলফা গ্রামে ৩৫ বছর বয়সী একজন যুবক জনাব মহিব শেখের সংসার। পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত অল্প কিছু জমি সংসারের ভরণপোষণের একমাত্র অবলম্বন। সংসারের টানা পোড়েনে লেখাপড়া সমাপ্ত না করেই লেগে পড়েছিলেন কৃষিকর্মে। চারপাশে দেখে শুরু করেন চাষাবাদ, যদিও আধুনিক প্রযুক্তির বিশেষ প্রয়োগ ছিল না। সংসারের খরচ প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে কিন্তু চাষাবাদে লাভের মাত্রা বাড়াতে পারছিলেন না।
সমসাময়িক কৃষকগণের পরামর্শে তিনি স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তাদের স্মরণাপন্ন হয়েছিলেন, তাতে আধুনিক কৃষি সম্পর্কে কিছুটা ধারণা লাভ করেছিলেন এবং কিছুটা উপকৃত হয়েছিলেন। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শেই তিনি মুক্তি পেতে পারেন দরিদ্রতার করাল গ্রাস থেকে।
কৃষি কাজের প্রতি আগ্রহ ও বিশেষ ভালোবাসার কারণে ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে গোপালগঞ্জ, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও পিরোজপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলা কৃষি অফিসারের কার্যালয়, টুঙ্গিপাড়া কর্তৃক সবজি জাতীয় ফসল উৎপাদন (উচ্ছে) প্রদর্শনী প্রদান করা হয় এবং সার্বক্ষণিক তদারকি করা হয়। নিরাপদ পদ্ধতিতে ৫০ শতক জমিতে বোল্ডার জাতের উচ্ছে আবাদ করে এক মৌসুমেই তার নিট লাভ হয় ৬০,০০০/- টাকা। এখান থেকেই শুরু তার সাফল্যের নবযাত্রা।
কৃষক প্রশিক্ষণ, মাঠ দিবস, প্রদর্শনী স্থাপণ সবকিছুতেই তার বিশেষ আগ্রহ ছিল। আধুনিক কৃষি প্রযুক্তিগত জ্ঞান ও দক্ষতায় ক্রমাগত দক্ষ হয়ে উঠেন, প্রয়োগ ঘটাতে থাকে তার ব্যবহারিক কৃষি কাজকর্মে, বাড়তে থাকে তার আয়, হতে থাকেন স্বাবলম্বী। আগ্রহের কারণে মহিব শেখকে অত্র প্রকল্পের আওতায় পরবর্তীতে আউশ ধান (ব্রি ধান৪৮), হলুদ ও মুগ ফসলের প্রদর্শনী প্রদান করা হয়।
তার এই সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে বর্তমানে অনেকেই আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে চাষাবাদে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন, মহিব শেখ এখন সকলের কাছে অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস